তানভীর আহমেদ রাসেল
কয়েকটা সকাল দেশের মিডিয়া পাড়া করোনা মুক্তির সংবাদে সয়লাব হবে। তা শুনে, আরেক সকালে মা নিশ্চিন্তায় কপালে চুমো দিয়ে আবার চিরচেনা ব্যস্ত নগরীরতে যাত্রার জন্য বিদায় জানাবে। শহরের বাসায় পৌঁছতে না পৌঁছতেই আমার ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ বন্ধু সোহান গ্রুপে পোস্ট দিয়ে জানিয়ে দিবে, আলহামদুলিল্লাহ! আগামিকাল থেকে রুটিন অনুযায়ী সকল ক্লাস শুরু হবে।
পরদিন সকালে সবাই ৮ টার বাসে করে ভার্সিটির উদ্যশ্যে যাত্রা করবে। ভার্সিটি পা রাখা মাত্রই প্রাণের বিদ্যাপীঠের প্রতিটি ধূলিকণা খল খল করে আসতে থাকবে। আমাদের উচ্ছ্বাসে আরো বেশি উচ্ছ্বাসিত হয়ে রং ছড়াবে ৫০ একরের প্রতিটি আঙ্গিনা। অনেক দিন পর সহপাঠী, সিনিয়র - জুনিয়র প্রিয় মুখগুলোকে একসাথে দেখতে পেরে উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনায় একে অপরকে আলিঙ্গন করে নিবে।নিজের গহীনে জমে থাকা ভাব বাক্যগুলো প্রাণ খুলে শেয়ার করবে। ডিপার্টমেন্টের কঠোর ম্যাডামটিরও আজ ক্লাসে প্রবেশ করা মাত্রই আমাদের কাছে পেয়ে খুশিতে দুচোখ দিয়ে ঝরঝর করে অশ্রু গড়িয়ে পড়বে।অবাক নয়নে তা দেখে আমরাও আর স্থির থাকতে পারবোনা।
ক্লাস থেকে বের হওয়া মাত্রই প্রেস ক্লাবের সভাপতি কিশোর ভাই জরুরি মিটিং ডাক দিবেন। বের হয়েই দেখব ক্যাম্পাসের প্রতিটি চত্তর আঞ্চলিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোর সদস্যদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠবে। বাদ রইবেনা নবী মামার চা দোকান কিংবা ক্যাম্পাসের সামনে ফটোকপি দোকানে শিক্ষার্থীদের চিরচেনা ভীড়। মিটিং শেষ হতে না হতেই টিউশন থেকে প্রিয় শিক্ষার্থী তানহা, জেবা, দীপ্রোর ফোন এক এক করে আসতে থাকবে। তাদের উৎকন্ঠিত মুখগুলো দেখে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করবে।
সারাদিনের এমন ব্যস্ততম দিন শেষে আসবে আরেকটি সকাল এরপর আরেকটি। আর এভাবেই কাটতে থাকবে আমাদের করোনার পূর্বের সেই মুহূর্তগুলো। অপেক্ষায় আছি আমি সেই দিনের.....
তানভীর আহমেদ রাসেল
শিক্ষার্থী, ফার্মেসী বিভাগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল- ০১৯৩৩০৭২৩২৫