আর্টিকেল-
করোনা পরিস্থিতির জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম এবং আবাসিক হল বন্ধ হয় ২০২০ সালের ১৮ মার্চ।
গত ৩ মাস যাবত ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার ফলে প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রী তাদের পরিবারের সাথে বসবাস করছেন। অনেকদিন যাবত বাসায় বন্ধী থাকার পর লকডাউন শিথিলের ফলে অনেকেই ক্যাম্পাসে আসা শুরু করেছেন। ফলে ক্যাম্পাসে প্রায় ৬৪ জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-ছাত্রী আসার ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন চরম করোনা ঝুঁকিতে আছে। অন্যদিকে কুমিল্লা জেলা বর্তমানে করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ জেলা। এছাড়া কোটবাড়ি এবং খানবাড়ি এলাকায় কভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়েছে।
অনেকেই বাসা থেকে আসার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাভিলিং পোস্ট দিচ্ছেন এবং ক্যাম্পাসে এসে ছবি তুলে তা পোস্ট করছেন। ফলে যারা এখনো বাসায় আছেন, তাদের ভিতরও ক্যাম্পাসে আসার প্রবণতা শুরু হয়েছে।
ক্যাম্পাস হয়ত আরো কয়েকমাস বন্ধ থাকবে এবং যারা টিউশনি করেন তাদের টিউশনি করানোর সুযোগও সীমিত (অভিভাবকরাও এখন সন্তানদের জন্য শিক্ষক রাখতে আগ্রহী নন)। এজন্য সকল কুবিয়ানদের প্রতি অনুরোধ থাকবে- সবাই পরিবারকে সময়দিন। ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসবেন না। একজন সুনাগরিক হিসেবে আমাদের সবার দায়িত্ব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাহিরে বের না হওয়া এবং সরকারের সকল বিধিনিষেধ মেনে চলা।
সবাই কিছুদিন ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন। আবার আমাদের দেখা হবে প্রিয় লালমাটির ক্যাম্পাসে। বাবুই চত্তর, শহিদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠাল তলা, ভিসির টং সবকিছু আরো বেশি অপরুপ সৌন্দর্যে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে।
সবাই বাসায় থাকুন
সুস্থ থাকুন
নিরাপদে থাকুন
লেখক
এইচ. এম. মেহেদী হাসান
আহ্বায়ক
সম্মিলিত আঞ্চলিক জোট, কুবি
এবং
সভাপতি
বরিশাল ডিভিশনাল স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন, কুবি